
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: ওরা ধ্বংস করে, আমরা সৃষ্টি করি। আমরা উন্নয়ন করি আর ওরা মানুষ খুন করে।
রোববার ৪ ডিসেম্বর বিকেলে পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামের কথা সবসময় মনে পড়ে বলে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাবা জেল থেকে বের হলেই চট্টগ্রামে নিয়ে আসতেন। করোনার কারণে দীর্ঘ সময় আসতে পারিনি, তাই আজ হাজির হয়েছি। এই লালদিঘীর সামনে ১৯৮৮ সালে ২৪ জানুয়ারি আমাকে হত্যা করতে গুলি করা হয়। এ ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়াও জড়িত ছিলেন। সেই হত্যাকারী পুলিশ অফিসারকে প্রমোশন দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা উন্নয়ন করি, আর বিএনপি মানুষ খুন করে। এই চট্টগ্রামে বিএনপি বারবার বোমা ও গ্রেনেড মেরেছে। বিএনপি মানুষের শান্তি চায় না।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘খালেদা জিয়ারা পারে মানুষ হত্যা করতে। আওয়ামী লীগ শান্তিতে বিশ্বাস করে। তাই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণ শান্তিতে থাকে। বিএনপির আছে দুইটা গুণ-ভোট চুরি আর মানুষ খুন।’
রিজার্ভ নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা রিজার্ভ খরচ করেছি দেশের মানুষের জন্য। জনগণের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ, করোনা ভ্যাকসিন ও আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করে দিয়েছি। আমরা জনগণের জন্য ভাবি। কারণ আমরা জনগণের কল্যাণের জন্য কাজ করি।’
তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সেই ১০ ডিসেম্বর বিএনপির খুব প্রিয় একটা তারিখ। বোধ হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পদলেহনের দোসর ছিল বলেই ১০ ডিসেম্বর তারা ঢাকা শহর নাকি দখল করবে। আর আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করবে। আমি তাদের বলে দিতে চাই, খালেদা জিয়া ৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জনগণের ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল। আর ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছিল বলেই তাকে বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেয়নি। সারা বাংলাদেশ ফুঁসে উঠেছিল। জনতার মঞ্চ করেছিলাম আমরা। খালেদা জিয়া বাধ্য হয়েছিল পদত্যাগ করতে। দেড় মাসও যায়নি, খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল। সে কথা বিএনপির মনে রাখা উচিত। জনগণের ভোট যদি কেউ চুরি করে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না। ওরা তা ভুলে গেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ওরা ভোটে যেতে চায় না। জিয়াউর রহমান যেমন জাতির পিতাকে হত্যা করে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, সেনা আইন লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করেছিল। তাদের ধারণা ওইভাবেই তারা ক্ষমতায় যাবে। গণতান্ত্রিক ধারা তারা পছন্দ করে না।
দীর্ঘ দিন গণতান্ত্রিক আছে বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আপনাদের কাছে এই বিজয়ের মাসে আমি উপহার নিয়ে এসেছি। কিছুক্ষণ আগে ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন, ৬টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছি। বিজয়ের মাসে চট্টলাবাসীর জন্য এগুলো আমার উপহার।’
More Stories
মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফর স্থগিত
মার্কিন উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারা ম্যাকডোনাল্ডের ঢাকা সফর স্থগিত করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন রোববার সন্ধ্যায়...
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিডার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন
বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা বিডার নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ...
নিপা ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ৭৫ ভাগ
নিপা ভাইরাস খুবই মারাত্মক। এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার ৭৫ ভাগ। এই ভাইরাসে কোনো ভ্যাকসিন নেই, কোনো ওষুধ নেই, চিকিৎসা...
জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পড়ার চর্চা বাড়াতে হবে : রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পড়ার চর্চা বাড়াতে হবে। আবদুল হামিদ বলেন, বই মানুষের প্রকৃত বন্ধু,...
পাতাল রেলের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরেকটি মাইলফলক অর্জিত হলো বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে রূপগঞ্জের পূর্বাচল সেক্টর ৪-এ পাতাল রেলের...
আত্মগোপন করায় ছোট মেয়েসহ বাবা র্যাব হেফাজতে
ফাইল ছবি আদালতের রায় উপেক্ষা করে আত্মগোপন করায় ছোট মেয়েসহ বাবা ইমরান শরিফকে বুধবার হেফাজতে নিয়েছে র্যাব। এর আগে বাংলাদেশি...