রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্প এলাকার হোটেল, রেস্তোরাঁ, দোকানসহ সব ধরনের ব্যবসায়িক-বাণিজ্যিক স্থাপনা অবৈধ ঘোষণার করে যে রায় হাইকোর্ট দিয়েছিল, তাতে স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার রাজউকের করা আবেদনের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে রাজউকের করা আবেদন (লিভ টু আপিল) শুনানি জন্য গ্রহণ করেছেন আদালত। এই লিভ টু আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানি করা হবে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ আদেশের ফলে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য যেসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে সেগুলো আপাতত সরাতে হচ্ছে না, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের ওপর সেগুলোর ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে রাজউকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী ইমাম হাসান। প্রকল্প এলাকায় ব্যবসায়ীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসানুল করিম। অপরদিকে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

৬০ দিনের মধ্যে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পের সব স্থাপনা অপসারণের নির্দেনা দিয়ে গত বছরের ৩০ জুন ওই রায় দেন হাইকোর্ট।

রায়ে বলা হয়, ‘তুরাগ নদীর রায়ের নীতি অনুসারে ঢাকার হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রজেক্টকে পাবলিক ট্রাস্ট (জনসম্পত্তি) ঘোষণা করা হলো।’

হাইকোর্ট ওই রায়ে বলেন, ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে হোটেল, রেস্তোরাঁ, দোকানসহ সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা অবৈধ ঘোষণা করা হলো। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে সব বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে।’

পরে গত জুলাইয়ে এ রায়ের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাজউক। চেম্বার জজ এ বিষয়ে কোনো আদেশ না দিয়ে শুনানির জন্য আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *